
যুবদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
ঢাকা শহরে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি বিষয়ক “বাংলাদেশে যুব কর্মসংস্থানের উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের কর্মদক্ষতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ২১শ শতকের চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা (লিফট)” প্রকল্পের মাধ্যমে এডুকো বাংলাদেশ চাইল্ড ফান্ড কোরিয়া (CFK) এর অর্থায়নে এবং ইএসডিও-র সহযোগিতায় নাভানা সিএনজি, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বাঁধন গ্রুপ, সিকাল্ব রিসোর্ট ও কনভেনশন হল, ভাওয়াল রিসোর্ট এবং আজিজ এয়ার সার্ভিসেস এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৯ মে সোমবার ফোর-সিজন্স রেস্টুরেন্টে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো সুবিধাবঞ্চিত ৩০০ জন যুব’র (১৬-২২ বছর বয়সী) কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের জন্য ২১ শতকের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। উক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যুবদের আধুনিক চাকরির বাজারে উপযোগী করে তুলতে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করা হয়। উল্লেখিত চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমঝোতার ফলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি আরও সুদৃঢ় এবং কার্যকর হয়েছে। এ সময় উপস্থিত অভিভাবকরা বলেন, এই প্রকল্পটি ঢাকার যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা প্রসারিত করছে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আফজাল কবির খান, ম্যানেজার, চাইল্ড লেবার এলিমিনেশন, এডুকো বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজুকি মটরস, টিভিএস মটরস, ফেয়ার গ্রুপ এবং লিফট প্রকল্পের সাথে চুক্তিবদ্ধ পাঁচটি টিভিইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা। প্রকল্পটির কার্যক্রম ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফারুক হোসেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, ইএসডিও। এছাড়াও ইএসডিও-এর টিভিইটি বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার মাহমুদ টিভিইটি এর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, এই উদ্যোগটি দেশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণার্থী ও তাদের অভিভাবক, মিডিয়া প্রতিনিধিবৃন্দ, এডুকো এবং ইএসডিও-এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
আফজাল কবির খান বলেন, “লিফট একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ, যার মাধ্যমে নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীদের ৬ মাস কারিগরি এবং সফট স্কিল প্রশিক্ষণ প্রদান করে শোভন কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আমরা চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলাম। এই সহযোগিতা তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যৌথ উদ্যোগটি শুধুমাত্র তাদের জীবিকা উন্নত করবে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখছে।”
অনুষ্ঠানে চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন – ২১ শতকের চাকরির বাজার অনুযায়ী যুবরা বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষিত হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। এরূপ উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলমান রাখার ক্ষেত্রে বক্তারা এডুকোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তাদের প্রত্যাশা, লিফট প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত যুবরা তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শোভন কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।